সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ): সংবাদদাতা
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ৫ টি ইটাভাটা পানি দিয়ে উৎপাদন বন্ধ করে ৪ ইটভাটা থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীদ আহমেদের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল সােমবার (০৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।
পাঁচটি ইটভাটা হলাে- মেসার্স মামা ভাগিনা ব্রিকস, মেসার্স মােল্লা ব্রিকস, মেসার্স আকাশ ব্রিকস,কেবিসি ব্রিকস ও মায়ের দােয়া ব্রিকস। এদের মধ্যে মােল্লা ব্রিকসকে ৮ লাখ টাকা, আকাশ ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা, কেবিসি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, মায়ের দােয়া ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীদ আহমেদ জানান, এসব ভাটাগুলাে সনাতন পদ্ধতিতে ইট তৈরির মাধ্যমে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ভেকু দিয়ে মেসার্স মামা ভাগিনাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইটি ইটভাটায় পানি ছিটিয়ে ইট, কাঁচামালসহ সব বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আরাে দুইটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মুন্সীগঞ্জে মােট ৭৮টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে সিরাজদিখান উপজেলায় ৬৯টি ইটভাটা রয়েছে। জেলায় ৩২ টি ইটভাটা বৈধ, বাকিদের ছাড়পত্র নেই। আজ ৫টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের উচ্ছেদ করা হবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটা বালুচর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদী তীরে অবস্থিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালুচরে নিয়ম অমান্য করে চলছে ৩৭টি ইটভাটা। দীর্ঘদিন ওই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীর পাশ ঘেঁষা লােকালয় ও ফসলি জমিতে এসব ইটভাটা চললেও তা বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখ্যযােগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযােগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সাথে ইটভাটার কারণে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply